কলকাতা: সাধারণ মানুষ জানেন গুঁড়ো লঙ্কা খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় গুঁড়ো লঙ্কা প্রস্তুতের বহু মেশিন রয়েছে। কলকাতা থেকে আরম্ভ করে জেলায় জেলায় ভেজাল গুঁড়ো লঙ্কা ব্যবসার চক্র চলছে। অবশ্যই সেটা অবৈধ উপায়ে। মজার বিষয় হল,যেখানে গোটা শুকনো লঙ্কা ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। সেখানে গুঁড়ো লঙ্কা ১৫০ টাকা কেজি পাওয়া যায়। তাহলে ভেজাল যে কোনও ভাবে মিশছে, সেকথা বলাই যায়৷ বিষয়টি সত্যিই যথেষ্ট চিন্তার।
সাধারণ মানুষ কোনওভাবেই বুঝতে পারেন না, আসলে বিষয়টা কি চলছে! প্রতিনিয়ত বিশ্বাস করে গুঁড়ো লঙ্কা খেয়ে বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে সাধারণ মানুষ। আর এই অসাধু ব্যবসা চালাচ্ছে, এই সমাজেরই মানুষ!
বড় বাজারের কিংবা জেলার বিভিন্ন জায়গায় পাইকারি দোকানদারদের কাছে ২ থেকে ৩ ধরনের লঙ্কা গুঁড়ো পাওয়া যায়।উল্লেখ যোগ্য হল, ১৫০ টাকা গুঁড়ো লঙ্কা (পাইকারি)থেকে শুরু করে গোটা লঙ্কা ২৫০ টাকা (পাইকারি)কেজি হিসাবে। গুঁড়ো লঙ্কা, খুচরো দোকানদার থেকে আরম্ভ করে যারা প্যাকেট তৈরি করে। তারা ভাঙিয়ে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ঘরের ‘এই’ দেওয়ালে ঘড়ি রেখেছেন নাকি!…ওই জন্যেই সময় খারাপ যাচ্ছে, হাতেও থাকছে না টাকা!
কমদামি গুঁড়ো লঙ্কা তৈরি হয় ফটকি লঙ্কা (যে লঙ্কা সাদাটে , নষ্ট হয়ে যায়) থেকে। ফটকি লঙ্কা গুঁড়ো করে, তার সঙ্গে রং মিশিয়ে প্রস্তুত করা হয় লঙ্কার গুঁড়ো। তার সঙ্গে ঝাল করবার জন্য মেশানো হয় এক ধরনের কেমিক্যাল।
এই লঙ্কা গুঁড়োই খেয়ে চলেছেন সাধারণ মানুষ৷ প্রতিদিন ঠকছেন। প্রথমত, আর্থিক ভাবে। দ্বিতীয়ত, কৃত্রিম রং কিংবা রাসায়নিক খেয়ে।
ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, ছোটখাট দোকানদার রাস্তার ধারের বেশ কিছু হোটেল রেস্টুরেন্ট এবং চানাচুর ফ্যাক্টরির লোকেরা অনেকেই নাকি এই ভেজাল গুঁড়ো লঙ্কা ব্যবহার করে।
এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যাপক ডক্টর প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস জানান, ‘‘সাদা লঙ্কা গুঁড়ো করার পর, সেই লঙ্কাকে লাল করতে গিয়ে যে পরিমাণে লাল রঙ ব্যবহার করা হয়। তা যথেষ্ট বিপদজনক। রং কিংবা রাসায়নিক। এতে ভারী মেটাল থাকতে পারে। যাতে লেড, আর্সেনিকের মতো ভয়ঙ্কর পদার্থ থাকতে পারে। যার ফলে মানুষের ক্যানসার, স্নায়ুতন্ত্রের এবং পেটের ভয়ানক রোগ তৈরি হতে পারে।’’
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।